• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

বাণিজ্য

চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মিলার-খুচরা ব্যবসায়িদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৯ অক্টোবর ২০২৩

আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া:

কুষ্টিয়ার বাজারে আবারও বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। খুচরা ও পাইকারি বাজারে প্রায় সব রকম চালে কেজি প্রতি বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা করে। খুচরা বিক্রেতারা বলছে মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে চাল। আর মিলারদের দাবি বেশি দামে ধান কিনলেও এখনো তারা চালের দাম বাড়ায়নি। বরং খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে। যদিও কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার ক্ষোভ আগের মতোই রয়েছে।

এদিকে কুষ্টিয়ার পাইকারি মোকামে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কয়েক দিনের মধ্যে চাল নিয়ে দেশে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

 বাজার সূত্রে জানা গেছে,ধানের দাম বাড়ার কারণে মাসখানেক আগে চিকন চালসহ অন্যান্য চালের দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়েছিল। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে গত কয়েকদিন ধরে খুচরা বাজারে আবারো সব ধরনের চাল কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

 চলতি আমন মৌসুমে এ নিয়ে দুই দফায় কুষ্টিয়ায় চালের দাম বাড়ল। কুষ্টিয়া পৌর বাজারে দেখা যায়, মোটা আঠাশ চাল ৫২ টাকা কেজি, কাজললতা ৫৬ টাকা, মিনিকেট ৬৩ টাকা ও বাসমতি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।

 চাল বিক্রেতারা জানান,বেশি দামে মোকাম থেকে চাল কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে চাউলের দাম বেড়েছে। ক’দিন আগে কাজললতা চাল ৫৩ টাকায় বিক্রি করেছি সেটা এখন ৫৬ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। মোকাম থেকে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে চাল।

তারা মিলারদের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে মিলগেট থেকে বেশি দামে চাউল কেনার ভাইচার দেখান। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দাদা রাইস মিলের মালিক জয়নাল আবেদীন প্রধান  বলেন, ধানের দাম প্রতি মণে ৮০-৯০ টাকা বেড়েছে সত্য। তবে চালের দাম বৃদ্ধিতে এখনো তার প্রভাব পড়েনি।

তিনি বলেন,আমার জানা মতে মিলাররাও এখন পর্যন্ত চাউলের দাম বাড়ায়নি। তবে সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে। তিনি দাবি করেন,ভবিষ্যতে চালের দাম বাড়তে পারে এমন সুযোগে খুচরা ব্যবসায়িরারা সিন্ডিকেট করে আগে থেকে চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। যার প্রভাব বাজারে পড়েছে। তবে সরকারী হস্তক্ষেপ না থাকায় চাল চক্রটি সাধারণ ক্রেতাদের জিম্মি করে পকেট কাটছে বলে অভিযোগ করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

চাউল ক্রেতা কুদরত খান জানান, চাউলের দাম কমার পরিবর্তে বাড়ছেই। ধানের দাম তো কম কিন্তু চাউলের দাম বেশি। এর মধ্যে চক্রের কারসাজি রয়েছে। দায়িত্বশীলরা হয়তো দেখেও দেখেন না।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জেলার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল বলেন, চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি জেনেছি। খুব গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও কোন অভিযান শুরু হয়নি।

কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন জানান,আমরা টিম দিয়ে মনিটর করছি। তাছাড়া মজুদের ব্যাপারটি মাথায় রেখে খাজানগর এলাকায় বিভিন্ন চালকল পরিদর্শন ও তদারকি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads